Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ
বিস্তারিত

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=602477614003985&id=100027252549403

আমি বোয়ালখালী উপজেলার ৭নং চরণদ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব মুহাম্মদ শামসুল আলম। বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় আমার প্রিয় মাতৃভূমিও করোনা মহামারিতে আক্রান্ত। জনগণের সেবায় আজ প্রায় ১ মাস যাবত নিজের সর্বস্ব দিয়ে নিয়োজিত আছি। উপজেলা প্রশাসন, বোয়ালখালীর আয়োজনে "বর্তমান করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ " বিষয়ক জরুরী সভায় উপস্থিত হই। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আমার পিতৃতুল্য অভিভাবক, চট্টলার মাটি ও মানুষের নেতা, চট্টগ্রাম-৮ আসনের মাননীয় সাংসদ জনাব আলহাজ্ব মোছলেম উদ্দিন আহমদ এমপি মহোদয়। দীর্ঘদিন যাবত করোনা পরিস্থিতি নিয়ে খাটাখাটি করার কারণে আমি হঠাৎ করে আজ সন্ধ্যায় প্রেশার হাই হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ি। আমার পরিবারের সদস্যরা আমাকে নিকটস্থ বোয়ালখালী উপজেলার ৬নং পোপাদিয়া ইউনিয়নের সৈয়দপুর এলাকায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে প্রতিষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু হাসপাতালে নিয়ে যান। যাওয়ার সময় তারা বঙ্গবন্ধু হাসপাতালের পরিচালক জনাব শিমুল ভাইয়ের সাথে যোগাযোগ করেন। তিনি তৎসময়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক জনাব ডাঃ শান্তনু হাজারীকে আমাকে চিকিৎসা সেবা প্রদানে যেন কোনধরনের অবহেলা না হয়, সেবিষয়ে অনুরোধ জানান। আমাকে বঙ্গবন্ধু হাসপাতালে নিয়মানুযায়ী ভর্তি করে চিকিৎসকদের জন্য ইমার্জেন্সি বেডে নেন। একজন সেবিকা আমার প্রেসার চেক করেন। ডাঃ শান্তনু হাজারি এত অনুরোধ, অনুনয়-বিনয় করে বলার পরও অনেক্ক্ষণ পর তিনি সিড়ির উপর দাড়িয়ে আমার কি হয়েছে জানতে চান। আমার চাচাতো ভাই আমি এমপি মহোদয়ের সাথে মিটিং করে এসেছি বলায় প্রতুত্তরে তিনি বলেন- "এমপি সাহেবের মিটিংয়ে গেছে মানে মরছে"। তিনি পুনরায় সিড়ির উপরই দাঁড়িয়ে সেবিকার নিকট আমার টেম্পারেচার কত এবং সেবিছে হ্যান্ডগ্লাভস পড়েছেন কিনা জানতে চেয়ে চিকিৎসা করবেননা বলে সাফ জানিয়ে দিয়ে উপরে চলে যান। শিমুল ভাই নিজে উপস্থিত হয়ে ডাঃ শান্তনু হাজারিকে পুনরায় অনুরোধ করেও ব্যর্থ হন।
প্রশ্ন হলো-
(১) আমারমত একজন জনপ্রতিনিধির সাধারণ চিকিৎসা যেখানে ডাক্তার নামের কসাই (!) করেননি, সেখানে সাধারণ মানুষ কত হয়রানির স্বীকার ?
(২) দানবীর জনাব হাসান ওয়ারেস কি এই উদ্দেশ্য নিয়ে হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেছেন ?
(৩) জনগনের ট্যাক্সের টাকায় পড়াশোনা করে এভাবে জনগণকে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়াই কি তাদের শপথ ছিল ?
প্রশাসন ও কর্তৃপক্ষের জোরালো হস্তক্ষেপ কামনা করছি, যাতে এভাবে কোন নাগরিককে এভাবে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর মুখে পড়তে হয়।

ছবি
ডাউনলোড
প্রকাশের তারিখ
23/04/2020
আর্কাইভ তারিখ
30/04/2020